বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম।। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সদরঘাট মাদারবাড়ী রেলগেইট এলাকায় ইয়াকুব আলী প্রকাশ ডন ও লেচুয়ার নেতৃত্বে ৭০/৮০ জনের বিপদগামী কিশোর, নারী ও পুরুষ নিয়ে চলছে মাদকের বড় গ্যার।
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের চোখের সামনে এসব অপরাধ ঘটলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুভপুর বাস-স্টেশন, রেললাইন, বালুর মাঠ, বরিশাল কলোনি রেলবিট কাঁচা বাজার এলাকায় মাদক বিক্রিতে কিশোর গ্যাং, তাদের সরাসরি নেতৃত্বে রয়েছে মাদক সম্রাট লেচুয়া, সহযোগী হিসেবে রয়েছে লেচুয়ার ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই, ভাগিনা, ভাতিজা। সুত্রমতে জানাযায়, মাদক কেনাবেচায় পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে বিশাল কিলার বাহিনী, তারা হচ্ছে, মোঃ হারুন, মোতালেব, ফিরোজ, সিরাজ,জাহাঙ্গীর, কাদের, খোকন সহ নাম না-জানা আরো অনেকে।
মাদক সেবনকারী হাসান প্রতিবেদককে বলেন, আমি সবসময় গাঁজার জন্য এইখানে আসি, এখানে কোন সমস্যা হয়না, এখানে সবসময়ই মাদক পাওয়া যায়। রেললাইনের পাশে যে মহিলা গুলো ইট ভাঙ্গার কাজ করতেছে তাদের কাছে গেলেই গাঁজা, ইয়াবা, ডাইল সহজে পাওয়া যায়।
আরেক মাদক কারবারি বলেন, মাদক সরবরাহ করে বিআরটিসি’র আলো প্রকাশ ডন। মাদকের সাথে রাজনৈতিক নেতার হাত রয়েছে, তার কথায় আমরা সবাই চলি। এই মাদকের স্পষ্ট থেকে মাসোহারা দিতে হয়, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের, অসৎ পুলিশ কর্মকর্তাদের এবং অসৎ রাজনৈতিক নেতাদের। পুলিশের রয়েছে টাকা তোলার সোর্স।
মাদকের স্পষ্ট সম্পর্কে সমাজকর্মী মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, মাদক সমাজের কোন উপকার করে না, বরং ক্ষতি করে সমাজ ও দেশের। মাদক সেবন করে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ ও ছাত্র সমাজ। এখন মাদক সেবনে যুক্ত হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। মাদক সেবনের কারণে বাড়ছে দুর্নীতি, ছিনতাই, চুরি ডাকাতি, অসামাজিক কার্যকলাপ। মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে সমাজ থেকে মাদক কারবারিদের কবর রচনা করা উচিৎ বলে মনে করি।
মাদকের স্পষ্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে, সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজ আহম্মদ বলেন, রেললাইন হওয়ায় আশেপাশে বস্তি গড়ে উঠেছে, বস্তি এলাকায় অপরাধীর সংখ্যা অনেক, দু’দিন আগেও অভিযানে পুলিশ পাঠিয়েছি, কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভবত হয়নি। আপনার অভিযোগ পেয়েছি, এখুনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।